অবাক করা ছেলে: শৈশবে কেমন ছিলেন আদি শংকরাচার্য

আদি শংকরাচার্য

প্রায় বারোশো বছর আগে, দক্ষিণ ভারতের কেরালার সমুদ্রতীরে একটি শিশু জন্ম হয়েছিল। নাম তার ছিল শংকর । শিশুটি যত বড় হতে থাকল তত তারমধ্যে নানা রকম গুণের প্রকাশ পেতে থাকে। সে একবার যা শুনত চিরদিনের জন্য তার মনে তা গেথে যেত। মাত্র তিন বছর বয়সে সে-সময়ের প্রচলিত সব ভাষায় যে-কোন বই সে পড়তে পারত।

তখনকার দিনে সবাই টোলে পড়াশোনা করত। শংকরও টোলে ভরতি হল। টোলের এক কোণে বসে সে পড়াশোনা করত। গুরুমশায় অন্যদিকে উপরের শ্রেণীর ছাত্রদের পড়াতেন। সেখানে শাস্ত্রের নানা কঠিন বিষয়ের আলোচনা হত।

আরও পড়ুন: ছোটবেলায় কেমন ছিলেন স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়

শংকরের বয়স তখন মাত্র পাচ বছর । একদিন তার মুখে এক অদ্ভুত কথা শুনে গুরুমশায় চমকে উঠলেন। উপরের শ্রেণীর ছাত্ররা অনেক মাথা ঘামিয়েও যা পারে নি, তা অতি সহজেই সে বর্ণনা করে দিল। বালক এক কোণে বসে কখন যে উচ্চতর শাস্ত্র আয়ত্ত করে ফেলেছে, সে খবর কেউ রাখে না। গুরুমশাই বুঝলেন, এই বালক বিরাট প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। সেদিনই তিনি শংকরকে ওপরের শ্রেণীতে বসবার অনুমতি দিলেন।

বেদ-বেদান্ত, স্মৃতি, পুরান প্রভৃতি শাস্ত্রে জ্ঞান লাভ করে শংকর টোল ছেড়ে ঘরে ফিরে এলো। তখন তার বয়স সাত বছরও পূর্ণ হয়নি।

এই ছেলেই পরবর্তীকালের অদ্বৈত বেদান্তের মহাপণ্ডিত আদি শংকরাচার্য