অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি পণ্ডিত যিনি পাল সাম্রাজ্যের আমলে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারক ছিলেন। এবার জেনে নেওয়া যাক তাঁর ছোটবেলার কিছু কথা।
আজ থেকে এক হাজার বছর আগেকার কথা (৯৮২ খ্রিস্টাব্দে) বাংলার বিক্রমপুর পরগনায় এক গৌড়ীয় রাজপরিবারে রাজা কল্যাণশ্রী ও প্রভাবতীর মধ্যম সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আদিনাথ চন্দ্রগর্ভ, তার আরেক নাম ছিল অতিশ।
তখনকার দিনে এখনকার মতো বইপত্র ছিল না, আর বিদ্যালয়ও ছিল না। পড়তে হতো পুঁথি, আর যেতে হতো টোলে পণ্ডিতদের কাছে।
অতিশ রাজার ছেলে, তাই তাকে টোলে যেতে হয়নি। পণ্ডিতরাই এসে তাকে বাড়িতে পড়াতেন। কিছুদিন পড়াবার পরই পণ্ডিতরা বুঝতে পারলেন অতীশকে শেখাবার মত বিদ্যা তাদের আর নেই।
আরও পড়ুন: শৈশবে কেমন ছিলেন আদি শংকরাচার্য
রাজা কল্যানশ্রী নানা দেশ থেকে বড় বড় পন্ডিত এনে ছেলেকে নানারকম জ্ঞান-বিজ্ঞানের কথা শেখাতে লাগলেন। অনেক কিছু শিখেও অতীশের আশা মিটলো না। তাই উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বঙ্গদেশ ছেড়ে বোম্বাইয়ের কাছাকাছি কৃষ্ণগিরি বিহারে। সেখানে রাহুলগর্ভ নামে এক মহাজ্ঞানী পন্ডিত ছিলেন। তার সকল বিদ্যায় তিনি অতীশকে শেখালেন।
দেশে ফিরে অতীশের আর ঘরে থাকতে মন চাইছিল না। তিনি মগধের ওদন্তপুরী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চললেন। সেখানে ছিলেন প্রবীণ পন্ডিত সিল রক্ষিত। পেয়ে তিনি খুব খুশি হলেন। তাঁর প্রতিভা আর জ্ঞান দেখে তিনি এর নাম দিলেন অতিশ দীপংকর। অগাধ জ্ঞানশালী বলে তার আরেক নাম ছিল শ্রীজ্ঞান। অতীশ দীপংকর দুর্গম পথ অতিক্রম করে সুদূর তিব্বতে গিয়ে জ্ঞানের আলো জ্বেলেছিলেন।