হাইওয়ে E-69 বা ই-৬৯ হাইওয়ে নরওয়ে’তে অবস্থিত একটি পৃথিবীর বিখ্যাত রহস্যময় স্থান। ৬.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ‘নর্থ কেপ’ ট্যানেলটি গিয়ে পৌঁছায় সমুদ্রতলের ২১২ মিটার নিচে।
কেমন এই হাইওয়ে E-69
পথের শেষ কোথায়, কী আছে শেষে…। তা জানার আগ্রহ সকলেরই তাই এই হাইওয়েটি কে পৃথিবীর শেষ রাস্তা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই হাইওয়ে E-69 অবস্থিত নরওয়ে-তে। পৃথিবীর এই শেষ রাস্তাটি উত্তর গোলার্ধে অর্থাৎ নিরক্ষরেখার ঠিক উপরের দিকে।নরওয়ের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ উত্তর মেরুর গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে।
এই রাস্তা উত্তর ইউরোপের নর্ডক্যাপকে সংযুক্ত করেছে নরওয়ের ওল্ডাফিউওর্ড গ্রামের সঙ্গে। এই হাইওয়ে E-69 র দূরত্ব ১২৯ কিলোমিটার। পাঁচটি টানেল পার হয়ে ওই রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে সবথেকে লম্বা যে টানেলটি রয়েছে তা হল নর্থ কেপ। ওই ‘নর্থ কেপ’-এর ৬.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই ‘নর্থ কেপ’ ট্যানেলটি গিয়ে পৌঁছয় সমুদ্রতলের ২১২ মিটার নিচে। সেখানেই শেষ রাস্তা।
আরও পড়ুন: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছোট বেলায় কেমন ছিলেন
ওই রাস্তায় যাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম না মানলে ওই রাস্তায় যাওয়ার অনুমতি মিলবে না, নিয়ম না মানলে ভয়ঙ্কর বিপদ লুকিয়ে রয়েছে ওই রাস্তার পরতে পরতে। তাই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’তে একা যাওয়ার কোনও অনুমতি নেই। এখানে ভয়ানক গতিতে হাওয়া বইতে থাকে। আর তেমনই ঠান্ডা। এতটাই ঠান্ডা যে গ্রীষ্মকালেও এখানে বরফ পড়ে। আর শীতকালে এই রাস্তা তুষারে ঢাকা থাকে। বন্ধ থাকে রাস্তা। অতিরিক্ত তুষারপাত, বৃষ্টির সঙ্গে যখন তখন সেখানে ঝড় উঠে। আবহাওয়ার কোনও পূর্বাভাসই এখানে কাজ করে না।
ইউরোপের নরওয়েতে ওই ই-৬৯ হাইওয়ে তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল ১৯৩০ সালে। তা চূড়ান্ত রূপ দিতে কেটে যায় আরও বছর চারেক। ১৯৩৪ সালে শুরু হয় রাস্তা তৈরির কাজ। এই দীর্ঘ রাস্তাটি তৈরি করতে সময় লেগে যায় ৬২ বছর। ১৯৯২ সালে শেষ হয় রাস্তা তৈরির কাজ। এই রাস্তাকে পৃথিবীর শেষ রাস্তা আখ্যা দেওয়া হয়। তবে পৃথিবীতে এমন ধরনের অনেক রাস্তাই রয়েছে যা মিলিয়ে গিয়েছে অসীমে।