বিশ্বের সবচেয়ে রঙিন নদী: সেরা 11 টি রঙিন হ্রদ ও নদীর খবর

বিশ্বের সবচেয়ে রঙিন নদী:সেরা 11 টি রঙিন হ্রদ ও নদীর খবর

বিশ্বের সবচেয়ে রঙিন নদী অর্থাৎ একটি নদীর অনেক রঙ হিসাবে ক্যানো ক্রিস্টালেস সেরা। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রঙিন নদী এবং হ্রদের তালিকা দেওয়া হল। অনেকেরই হয়তো মনে হতে পারে যে জল নীল হওয়ার জন্য চারপাশের মহাসাগরগুলো নীল। কিন্তু আসলে জল স্বচ্ছ ও পরিষ্কার। তাই আমরা হ্রদ, মহাসাগর বা অন্য জলে যে রঙ দেখি তা আসলে জলের মধ্যে থাকা বিভিন্ন কণার আলোর প্রতিসরণ। যেমন সূর্যের আলো সমুদ্রে প্রবেশ করে খুব দ্রুত শোষিত হয়। এর ফলে সমুদ্র নীল দেখায়। বিশাল জলরাশি মহাবিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ রহস্যে ভরা বলে মনে হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে রঙিন নদী: ক্যানো ক্রিস্টালেস (Cano cristales)

বিশ্বের সবচেয়ে রঙিন নদী: ক্যানো ক্রিস্টালেস
Picture credit: unusualplaces.org

ক্যানো ক্রিস্টালেস নামে ছোট এই নদীটি, কলম্বিয়ার মেটা অঞ্চলে অবস্থিত এবং বিশ্বের সবচেয়ে রঙিন নদী হিসেবে খ্যাত। বিশেষত গ্রীষ্ম ও বর্ষার মাঝামাঝি সময়ে এই নদী লাল, হলুদ, সবুজ, নীল ও কালচে রঙ ধারণ করে। তাই একে “তরল রামধনু” বা (Liquid rainbow) এবং “পাঁচ রঙা নদী” বা (River of five colors) নামেও ডাকা হয় ।

  • কোথায় আছে : কলম্বিয়ার ‘সেরানিয়া দে লা ম্যাকারেনা’ জাতীয় উদ্যানে অবস্থিত।
  • রঙ পরিবর্তনের কারণ: নদীর তলদেশে থাকা রাইঙ্কোলাসিস ক্লাভিগেরা নামক জলজ উদ্ভিদের কারণে এই অনন্য রঙের সৃষ্টি হয়।
  • পর্যটন আকর্ষণ: প্রতি বছর প্রচুর পর্যটক নদীটির অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।
  • সুরক্ষা ব্যবস্থা: পরিবেশগত সংরক্ষণের কারণে নির্দিষ্ট সময় ছাড়া পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকে।

পাঁচ রঙা নদী সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য:

ক্যানো ক্রিস্টালেস হল একটি কলম্বিয়ান নদী যাকে “পাঁচ রঙের নদী” আবার ‘liquid rainbow’ বা “তরল রামধনু” বলা হয় কারণ এর আকর্ষণীয় রঙগুলি সারা বছর ধরে পরিবর্তিত হতে থাকে। এটি “সেরানিয়া দে লা ম্যাকারেনা” জাতীয় উদ্যানে অবস্থিত, একটি জীববৈচিত্র্যপূর্ণ অঞ্চল যেখানে আন্দিজ, আমাজন এবং ল্যানোস মিলিত হয়।

ক্যানো ক্রিস্টালেসের প্রধান আকর্ষণ হল নদীর তলদেশে জন্মানো রঙিন জলজ উদ্ভিদ, বিশেষ করে রাইঙ্কোলাসিস ক্লাভিগেরা (আগে ম্যাকারেনিয়া ক্লাভিগেরা নামে পরিচিত ছিল ), যা এই অঞ্চলে স্থানীয়। এই উদ্ভিদটি তরুণ বয়সে সবুজ, কিন্তু পরিপক্ক হওয়ার পরে হলুদ, লাল বা গোলাপী হয়ে যায়, সূর্যালোক এবং জলের অবস্থার উপর নির্ভর করে। জুন থেকে নভেম্বরের মধ্যে উদ্ভিদটি সবচেয়ে প্রচুর এবং প্রাণবন্ত থাকে, যখন বর্ষাকাল তার বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত জল এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। এই নদীতে বিভিন্ন রঙের অন্যান্য উদ্ভিদও রয়েছে, যেমন হলুদ পোডোস্টেমেসি, নীল-সবুজ শৈবাল এবং কালো পাথর। নদীটি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, কচ্ছপ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর আবাসস্থল, পাশাপাশি আশেপাশের বাস্তুতন্ত্রে বসবাসকারী বিভিন্ন ধরণের পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী, সরীসৃপ এবং পোকামাকড়ের আবাসস্থল।

১৯৬৯ সালে একদল গবাদি পশুপালক ক্যানো ক্রিস্টালেস আবিষ্কার করেছিলেন, কিন্তু ১৯৮০ সালের আগ পর্যন্ত এটি বাইরের বিশ্বের কাছে অজানা ছিল, যখন একজন কলম্বিয়ান সাংবাদিক এটি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। তবে, সরকার, গেরিলা এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের কারণেও এই অঞ্চলটি প্রভাবিত হয়েছিল, যা পর্যটক এবং গবেষকদের জন্য এটিকে অনিরাপদ এবং দুর্গম করে তুলেছিল। সহিংসতা ও দূষণের কারণে নদীটি জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ২০০৯ সালের আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি এবং স্থানীয় সম্প্রদায় এবং পরিবেশ কর্তৃপক্ষের সহায়তায় নদীটি দর্শনার্থীদের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছিল।

কালো নদী: রিও নিগ্রো (Rio Negro )

কালো নদী: রিও নিগ্রো
Picture credit: ynetnews.com

রিও নিগ্রো বিশ্বের বৃহত্তম কালো জলের নদী। নদীর নামকরণ করা হয়েছিল নিগ্রো, যার পর্তুগিজ ভাষায় অর্থ কালো কারণ এর জলের রঙ গাঢ়। জলপ্রবাহের দিক থেকে এটি বিশ্বের বৃহত্তম নদীগুলির মধ্যে একটি। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১,৪০০ মাইল (২,২৫০ কিমি), যার মধ্যে ৮৫০ মাইল (১,৩৭০ কিমি) ব্রাজিলে অবস্থিত।

  • কোথায় আছে: রিও নিগ্রো পূর্ব কলম্বিয়ার রেইন ফরেস্টে গুয়েনিয়া নামে উৎপন্ন হয়ে, ভেনেজুয়েলা সীমান্ত হয়ে ব্রাজিলে প্রবেশ করে আমাজন নদীতে মিলিত হয়েছে।
  • কালো রঙের কারণ: জৈব পদার্থের পচন এবং আশেপাশের গাছপালা থেকে নির্গত ট্যানিনের উপস্থিতির কারণে এটি ঘটে, যা নদীটিকে তার স্বতন্ত্রভাবে সমৃদ্ধ রঙ দেয়।
  • বিশেষত্ত্ব: রিও নিগ্রো বিশ্বের বৃহত্তম কৃষ্ণজল নদী। এর জল কালো বা রঙিন হওয়া সত্ত্বেও এর জলে খুব কম পলি থাকে এবং রিও নিগ্রো পৃথিবীর সবচেয়ে পরিষ্কার নদীগুলির মধ্যে একটি হিসাবে স্থান পায়।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার 5 টি জনপ্রিয় লোককাহিনী পড়ুন

হলুদ নদী: হোয়াংহো, চীন

হলুদ নদী - হোয়াংহো
Picture credit: thoughtco.com

হলুদ নদী বা পীত নদী যা ‘হোয়াং হো’ নামে পরিচিত। এটি চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী এবং বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ নদী। প্রায় ৫,৪৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী চীনের কৃষি, সভ্যতা ও ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। নদীর ঘন কাদাযুক্ত জল এবং ব্যাপক বালুকণা বহনের ক্ষমতার কারণে একে “চীনের দুঃখ” বলেও অভিহিত করা হয়।

  • কোথায় অবস্থান: ছিংহাই প্রদেশে হুযাংহো নদী উৎপত্তি হয়ে নদীটি পীতসাগরে পতিত হয়েছে।
  • হলুদ রঙের কারণ: নদীটি প্রচুর পরিমাণে Loess (বেলে দোআঁশ মাটি) বহন করে, যা জলের সঙ্গে মিশে একে হলুদাভ রঙ প্রদান করে।
  • কৃষিকাজে গুরুত্ব: এই নদীর অববাহিকায় চীনের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল এবং আজও এটি কৃষি ও অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • বন্যা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা: অতীতে এই নদীর ভয়াবহ বন্যা ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে, তবে বর্তমানে উন্নত বাঁধ ও সেচব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।

হলুদ নদী সম্পর্কে আরও তথ্য:

  • প্রাচীন চীনে প্রায়ই হোয়াংহো নদী ছাপিয়ে উঠে সবকিছু বন্যায় ভাসিয়ে দিতো বলে এই নদীর নাম ছিল “চীনের দুঃখ“।
  • ইতিহাস বলে এপর্যন্ত ছাব্বিশবার এই নদী গতিপথ বড় রকমের পরিবর্তন করেছে। আর প্রত্যেকবারই চীনের জনগণের জীবনে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় দুদর্শা।
  • তবে এই নদীর তীরে গড়ে ওঠা সভ্যতাকে ঘিরেই চীনা সভ্যতার গোড়া পত্তন হয়েছে।
  • হোয়াংহো হলো চীনের দ্বিতীয় দীর্ঘতম ও এশিয়ার ২য় বৃহত্তম এবং বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘ নদী। নদীটি চীনের ৯টি প্রদেশের মধ্য দিয়ে মোট ৫৪৬৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে।
  • হোয়াংহো নদী চীনের মাতৃনদী হিসেবে পরিচিত। হুয়াংহো নদীর অববাহিকার পশুচারণ ভূমি বেশ উর্বর ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। এই নদীর অববাহিকাতে চীনের প্রাচীনতম সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। এ নদীর অববাহিকা চীনের সভ্যতা, ইতিহাস ও সংস্কৃতির আঁতুড়ঘর

রিও রিন্টো নদী: লাল নদী, স্পেন

Picture credit: mybestplace.com

রিও রিন্টো নদী স্পেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত অদ্ভুত একটি নদী, যা গাঢ় লালচে রঙের জন্য পরিচিত। আয়রন ও অন্যান্য খনিজের কারণে নদীর জল প্রাকৃতিকভাবেই লালচে রঙ ধারণ করে, যা এটিকে পৃথিবীর অন্যতম অদ্ভুত প্রাকৃতিক জলধারা হিসেবে গড়ে তুলেছে।

  • কোথায় রয়েছে : স্পেনের আন্দালুসিয়া অঞ্চলের হুয়েলভা প্রদেশে অবস্থিত।
  • লাল রঙের কারণ: নদীর জলে উচ্চমাত্রার আয়রন ও অ্যাসিডিক উপাদান থাকায় এটি লালচে হয়ে থাকে।
  • কি কি খনিজ সম্পদ: এই অঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই তামা, সোনা, রুপা ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ আহরণ করা হয়।
  • বৈজ্ঞানিক গবেষণা: নাসার গবেষকরা রিও রিন্টো নদীর পরিবেশ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন, কারণ এই নদীর রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য মঙ্গল গ্রহের ভূতাত্ত্বিক পরিবেশের সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ।

রিও রিন্টো সম্পর্কে আরও তথ্য:

স্পেনের এই রহস্যময়ী নদীটির পোশাকি নাম “রিও টিন্টো”। সিয়েরা মরেনা পাহাড় এই নদীর উৎসস্থল। নদীটি ১০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে মিলিত হয় হুয়েলভার গাল্ফ অফ কাডিজে। খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সাল নাগাদ আন্দালুসিয়া প্রদেশ তামা, সোনা, রূপা ও অন্যান্য খনিজদ্রব্যে ভরপুর ছিল। খনিজদ্রব্যের সন্ধানে দফায় দফায় ওই এলাকায় খননকার্য শুরু হয়। দীর্ঘদিন ওই এলাকায় খননকার্যের ফলে নদীর জল মারাত্মক আম্লিক হয়ে পড়ে। অ্যাসিড ও লৌহের মারাত্মক উপস্থিতির জন্যে নদীর জলের রঙ লাল হয়ে যায়। মারাত্মক দূষিত হয়ে পড়ে নদীর জল।

পরীক্ষা করে জানা যায়, ওই নদীর জলে চরমজীবি অবায়বীয় প্রকারের ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত। এগুলি এমন এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা অতি কঠিন পরিস্থিতিতেও বংশ বৃদ্ধি করতে পারে এমনকি অক্সিজেনের অভাবেও। এই ব্যাকটেরিয়া জলের সঙ্গে মিশে এতটাই শক্তিশালী ও ভয়ংকর হয়ে ওঠে যে কোনও জন্তু বা মানব দেহাংশের সংস্পর্শে এলে মুহূর্তের মধ্যে তা গলে কঙ্কালে পরিণত হয়ে যেতে পারে।

বৈজ্ঞানিকরা এই জল নিয়ে তখন আরও গবেষণা করতে শুরু করেন। জানা যায়, এই নদীর জলের চরিত্রের সঙ্গে মঙ্গল গ্রহের পরিবেশের অনেকটা মিল আছে। এই জলে সালফেট ও লৌহ বিজারণ করতে পারে এমন ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান বৈজ্ঞানিকরা। অর্থাৎ এই জল খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। সালফেট বিজারণকারী ব্যাকটেরিয়াগুলি শরীরের ভেতরের কোনও ক্ষতি করে না। কিন্তু জলের সঙ্গে মিশে ভয়ংকর বিষাক্ত হয়ে ওঠে। জলে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির জেরে জল থেকে পচা ডিমের গন্ধ বের হয়। এমনকি কিছুদিন এই জল সংরক্ষণ করলে জলের রঙ কুচকুচে কালো হয়ে যেতে পারে

আরও পড়ুন: পৃথিবীর সবচেয়ে সরু নদী বা সবচেয়ে চওড়া নদী সম্পর্কে জানুন

লেক হিলিয়ার, অস্ট্রেলিয়া

লেক হিলিয়ার, অস্ট্রেলিয়া
Picture credit: wisata.app

অস্ট্রেলিয়ার লেক হিলিয়া বাবলগাম গোলাপি রঙের। এটি একটি অত্যাশ্চর্য। হ্রদটি মাত্র ২০০০ ফুট লম্বা আর ৮০০ ফুট চওড়া।

কেলিমুতু হ্রদ, ইন্দোনেশিয়া

কেলিমুতু হ্রদ, ইন্দোনেশিয়া
Picture credit: wikivoyage.org

কেলিমুতু আগ্নেয়গিরির শীর্ষের প্রতিটি হ্রদের একটি আলাদা রঙ রয়েছে। যা কিনা সত্যই অবাক করার মত । তবে আশ্চর্যের বিষয় হল এই হ্রদ সর্বদা তাদের রঙ পরিবর্তন করে।

ড্রিনা নদী, সার্বিয়া

ড্রিনা নদী, সার্বিয়া
Picture credit: panacomp.net

ড্রিনা নদীর জল সবুজ। এর চেয়ে সন্দর সবুজ হয়ত আর কোথাও দেখা যাবে না। ৩৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীটিকে সার্বিয়ার সবচেয়ে সুন্দর নদীগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে গণ্য করা হয়।

সেলেস্ট নদী, কোস্টারিকা

সেলেস্ট নদী, কোস্টারিকা
Picture credit: asuaire.com

কোস্টারিকার টেনোরিও আগ্নেয়গিরি জাতীয় উদ্যানে সেলেস্ট নদী অবস্থিত। নদীটি তার অদ্ভুত জলের ফিরোজা রঙের জন্য বিখ্যাত। এই রঙটি সালফার এবং ক্যালসিয়াম কার্বনেটের মধ্যে সঞ্চালিত একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে ঘটে।

লেগুনা কলোরাডা, বলিভিয়া

লেগুনা কলোরাডা, বলিভিয়া
Picture credit: Johnson Barrows via Flickr.com

লেগুনা কলোরাডা অর্থ হচ্ছে রেড লেক। জনশ্রুতি আছে যে, হ্রদটি দেবতাদের রক্তে ভরা বলেই লাল রঙ। এটি বলিভিয়ার সবচেয়ে অবিশ্বাস্য প্রাকৃতিক আশ্চর্য।

ওকামা ক্রেটার লেক, জাপান

ওকামা ক্রেটার লেক
Picture credit: ynetnews.com

এই হ্রদটি জাও পর্বতে অবস্থিত। মাউন্ট বান্দাইয়ের অগ্ন্যুৎপাতের পরে এটি তৈরি হয়েছিল। পাঁচ রঙের হ্রদ নামেও পরিচিত এটি। ওকামা ক্রেটার লেক বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর হ্রদগুলোর মধ্যে একটি।

লাল নদী, উত্তর আমেরিকা

লাল নদী, উত্তর আমেরিকা
Picture credit: usgs.gov

উত্তর আমেরিকার লাল নদীটি রেড রিভার ভ্যালির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা এবং উত্তর ডাকোটা রাজ্যের মধ্যে একটি সীমানা তৈরি করেছে। এই নদীর লাল জল চারদিকের দৃশ্যকে অন্যরকম সৌন্দর্য প্রদান করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top