ভিটামিন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। কিন্তু আমাদের শরীর ভিটামিন তৈরি করতে পারে না । শুধুমাত্র ভিটামিন ডি আমাদের ত্বকে উৎপন্ন হয় রোদের সংস্পর্শে । ভিটামিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল শাক-সব্জি ও ফলমূল। কিন্তু রান্নার সময় আমাদের ছোট-খাট কিছু ভুলে শাক-সব্জির পুষ্টিমান কমে যায়, যা একটু সচেতন হলেই তা রোধ করা যায়। সব্জির পুষ্টিমান বজায় রাখার কিছু সহজ কৌশল দেখে নিন ।
সঠিক সবজি বাছাই ঃ ভিটামিন সর্বোচ্চ মাত্রায় পেতে টাটকা ও গাঢ় রঙের সবজি বাছাই করুন। তাজা সবজি ও ফলে বেশি পুষ্টি থাকে। সবজি যত বাসি হবে তত পুষ্টিমান কমতে থাকে।
রান্নার আগের প্রস্তুতি : সবজি কাটার আগে ভালো করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খোসার উপরের ব্যাকটেরিয়া , ময়লা ধুয়ে যাবে। পুষ্টিমান বজায় রাখতে সবজি বড় টুকরা করে কাটুন । এতে বাতাসের সংস্পর্শে কম ভিটামিন নষ্ট হয়। সবজি কাটার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রান্না করে ফেলুন। সবজি কাটার পরে জলে বেশিক্ষন ভিজিয়ে রাখবেন না। যথাসম্ভব বড় টুকরা করে কাটুন।
সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করুন : অল্প আঁচে রান্না করুন। বেশি আঁচে শাক- সবজি রান্না করলে ভিটামিন নষ্ট হয় অনেক বেশি।
রান্নায় কম জল ব্যবহার করুন : সবজি রান্নায় যথাসম্ভব কম জল ব্যাবহার করুন। অল্প আঁচে ও ঢেকে রান্না করুন। সবচেয়ে ভালো হয় প্রেসার কুকার বা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রান্না করলে। এতে সবজি খুব দ্রুত ও কম জলে রান্না হয়ে যাবে ।
সবজির স্যালাড খাওয়ার অভ্যাস করুন : স্যালাড খুব ই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। সবজি স্যালাড করে বা ফল শরবত করে বা আস্ত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এভাবে খেলে সবজির পুরো পুষ্টি বজায় থাকে।
দ্রুত রান্না করুন : কিছু কিছু সবজি যেমন – ক্যাপসিকাম , বেবি কর্ণ , টমেটো বেশি রান্না করলে খেতে ভালো লাগে না, এগুলো দ্রুত রান্না করে ফেলুন।
সবজি সিদ্ধকরা জল পুনরায় ব্যবহার করুন : সবজি সিদ্ধ করার পরে জল ফেলে না দিয়ে অন্য রান্নায় , সুপ বানাতে ব্যবহার করুন।
সঠিকভাবে সংরক্ষন করুন : সংরক্ষনের কারনেও ভিটামিন নষ্ট হয়। বাজার থেকে কেনার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেয়ে ফেলতে হবে। বেশিদিন রেখে দিলে পুষ্টিমান কমে যজায়। আর যদি বেশি থাকে তাহলে ভালো করে কাগজে মুড়ে ফ্রিজের সবজির বক্সে রাখতে হবে।