দুশ্চিন্তা ধরে রেখোনা – একটি শিক্ষামূলক গল্প।
একদিন একজন শিক্ষক ক্লাসে একটি অর্ধপূর্ন জলের গ্লাস নিয়ে ঢুকলেন। তা দেখে ছাত্র-ছাত্রীরা ধরেই নিলো তিনি সেই পুরোনো “গ্লাসটি কি অর্ধেক পূর্ণ নাকি অর্ধেক খালি?” ধরনের সবার জানা প্রশ্নটি করবেন।
কিন্তু শিক্ষক মশাই সবাইকে অবাক করে দিয়ে জানতে চাইলেন। বলো তো এখানে কতোটুকু ওজনের জল আছে? ছাত্র-ছাত্রীরা সকলেই ৫০ মিলি থেকে ৩০০ মিলির মধ্যে জবাব দিল।
তখন শিক্ষক জবাব দিলেন আসলে কতটুকু ওজনের জল ধরে আছো তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল, কতক্ষণ সময় যাবত ধরে আছো।
যদি তুমি একটি জলের গ্লাস এক মিনিটের জন্য ধরে থাকো তাহলে তোমার কাছে এটি কোন ব্যাপারই মনে হবেনা।
আরও পড়ুন: স্বামী বিবেকানন্দ – তার জীবনের কিছু কথা
যদি ১০ মিনিট যাবত ধরে থাকো তবে হাতে কিছুটা অসারতা বা ব্যাথা অনুভুত হতে পারে। সেই একই গ্লাস যদি সারা দিনের জন্য ধরে রাখতে হয় তবে তোমার সেই সামান্য ওজনের গ্লাসেই অস্বস্থিকর ব্যাথা হবে।
ঠিক তেমনই তুমি যখন কোন মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা শুরু করো যদি সেটা অল্প কিছুক্ষণ ভেবে বাদ দাও তবে সেটা তেমন ক্ষতির কিছুনা।
কিন্তু তুমি যদি সেটি নিয়ে দিন পার করে দাও এবং ভাবতেই থাকো তাহলে তা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে সেটা থেকে আরো দুশ্চিন্তা এবং আপ্রয়োজনীয় চিন্তার ডাল পালা গজায়।
আর তুমি যদি এই অতিরিক্ত চিন্তা নিয়ে ঘুমাতে যাও এবং এটি নিয়েই জেগে উঠো তবে এর চেয়ে খারাপ আর কিছুই হতে পারেনা। এই সম্পর্কে অবগত করার জন্যই এই শিক্ষামূলক গল্প বলা।
গল্পের শিক্ষনীয়: আমাদের দুশ্চিন্তা নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া উচিত নয়। যদি সে বিষয়ে আমাদের হাতে করার কিছু থেকে থাকে তবে তা করা উচিত, আর না থাকলে দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখা উচিত।